শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের নবম স্কন্ধের ২২তম অধ্যায়ে বিভিন্ন রাজবংশের বংশপরম্পরা এবং তাদের বংশধরদের বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে মূলত পাণ্ডবদের পূর্বপুরুষদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। দিবোদাসের পুত্র মিত্রেয়ুর চার পুত্র ছিল: চ্যবন, সুধাস, সহদেব এবং সোমক। সোমকের শত পুত্র ছিল, যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল জন্তু এবং সবচেয়ে ছোট পৃষত। পৃষতের পুত্র দ্রুপদ এবং দ্রুপদের কন্যা দ্রৌপদী ও পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন। অজমীঢ়ের দ্বিতীয় পুত্র ঋক্ষের পুত্র সংবরণ, যার বিবাহ হয় সূর্যের কন্যা তপতীর সাথে এবং তাদের পুত্র হয় কুরু। বৃহদ্রথের পুত্র কুশাগ্র, কুশাগ্রের পুত্র ঋষভ, ঋষভের পুত্র সত্যহিত, সত্যহিতের পুত্র পুষ্পবান এবং পুষ্পবানের পুত্র জহু। বৃহদ্রথের দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে জন্ম নেয় জরাসন্ধ, যাকে জরা নামক রাক্ষসী জীবিত করে তোলে। প্রতীপের তিন পুত্র: দেবাপি, শান্তনু এবং বালহীক। শান্তনু রাজা হন এবং তার পুত্র ভীষ্ম, যিনি মহাভারতের অন্যতম প্রধান চরিত্র। এই অধ্যায়ে মূলত বিভিন্ন রাজবংশের বংশপরম্পরা এবং তাদের বংশধরদের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে, যা মহাভারতের কাহিনীর পূর্বসূত্র হিসেবে কাজ করে।