শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণের দশম স্কন্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের প্রাক্কালে ঘটে যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। এই অধ্যায়টি প্রধানত কংসের ভয় ও তার পরবর্তী কার্যকলাপের ওপর কেন্দ্রীভূত।
দৈববাণী শোনার পর কংস ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন এবং সিদ্ধান্ত নেন যে দেবকীর প্রতিটি সন্তানকে হত্যা করবেন। কংসের ভয়ে মথুরা রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এই সময়, দেবতারা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের কাছে কংসের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন। দেবতাদের প্রার্থনার ফলে ভগবান বিষ্ণু আশ্বস্ত করেন যে তিনি শীঘ্রই ধরণীতে অবতীর্ণ হবেন এবং কংসসহ সকল অসুরদের বিনাশ করবেন।
এই অধ্যায়ে দেবকীর সপ্তম গর্ভের সন্তানের অলৌকিক স্থানান্তর ঘটানোর কাহিনীও বর্ণিত হয়েছে। দেবী যোগমায়ার কৃপায় সেই সন্তানকে রোহিণীর গর্ভে স্থানান্তরিত করা হয়, এবং তিনি পরবর্তীকালে বলরাম নামে পরিচিত হন। এই অলৌকিক স্থানান্তর শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পূর্বাভাস হিসেবে দেখা হয়।
দ্বিতীয় অধ্যায়টি শেষ হয় যখন শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সম্ভাবনায় সকল দেবতা আনন্দিত হন এবং ভগবান বিষ্ণুর পৃথিবীতে অবতরণের অপেক্ষায় থাকেন। এই অধ্যায়টি শ্রীকৃষ্ণের জন্মের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং কংসের ভয়ের প্রতিফলন।
আশা করি এই সংক্ষিপ্তসারটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। যদি আপনার আরও কিছু জানার থাকে, দয়া করে জানান! 😊